প্রচ্ছদ > রাজনীতি > অন্যান্য

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াত আমিরের যে কথা হলো

article-img

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ সোমবার রাজধানী ঢাকার মগবাজার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে জামায়াতের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকালে চীনা রাষ্ট্রদূত ও জামায়াতের আমির দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার হচ্ছে পিপলস রিপাবলিকান অব চায়না। আমরা অনুরোধ করেছি, তারা যেন বাংলাদেশে আরও বেশি ইনভেস্ট করেন। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য আমরা তাদেরকে আরও সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। আমরা আশা করছি তারা এটা সক্রিয় বিবেচনায় নিবেন।’

জামায়াতের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম খান মিলন, মতিউর রহমান আকন্দ, নূরুল ইসলাম বুলবুল, সেলিম উদ্দিন ও মোবারক হোসাইন।

বৈঠক শেষে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা একসাথে দীর্ঘ এক ঘণ্টা যাবৎ দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেছি। উভয় দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ডেভেলপমেন্টসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটিয়ে আমরা যেন একসাথে এগিয়ে যেতে পারি সেই বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তনের বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পেয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের জনগণ, দুই দেশের সরকার, পার্টি টু পার্টি আমরা আরও ক্লোজলি কাজ করার সুযোগ পাব। আপনাদের মাধ্যমে সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে এখানে আসার জন্য আরেকবার অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং আশা করছি আগামী দিনগুলোতে আমাদের এ ধরনের মিউচুয়াল ডায়ালগ দুই দেশের স্বার্থে অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।’

এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জামায়াতে ইসলামীর আতিথেয়তায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ। জামায়াতে ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল দল। চায়নার জনগণ বাংলাদেশের জনগণের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়। আমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাব।’